অন্য রকম সভ্যতা

পৃথিবী একটাই, তারপরও সেখানে অনেক দেশ আছে, আছে জাতি। একটি জাতির মাঝেও থাকে কিছু উপজাতি, ধর্মীয় বৈষম্য। নিজ জাতীয় কিংবা ধর্মীয় ব্যাপার গুলো সবার কাছেই খুব পরিচিত আর সেগুলোর প্রতি খুব দুর্বলও থাকে বেশী। তারপরও কিছু কিছু মানুষ আছে, ভালোবাসার খাতিরে সেই সব ধর্মীয় কিংবা জাতি উপজাতির দেয়ালগুলো উপেক্ষা করে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আমার বাবাও তাই করেছিলো।  
শৈশব থেকেই আমাদের মাকে, প্রতিবেশী অন্য সব মা কিংবা মেয়েদের চাইতে একটু আলাদাই মনে হতো। সবাই যখন তাদের দেহগুলো বিভিন্ন রকম ভারী ভারী পোশাকে ঢেকে রাখতো, তখন আমার মাকে দেখতাম দিব্যি নগ্ন বক্ষে ঘরে বাইরে খুব সহজ ভাবেই চলাফেরা করতো। 
যখন খুব বেশী ছোট ছিলাম, তখন ব্যাপারটাকে এত গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু, যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলাম, তখন অনেক বন্ধু কিংবা পরিচিতজনরা আঙ্গুলী নির্দেশ করেই বলতো, কিরে, তোর মা ন্যাংটু থাকে কেনো? তখন আমারও খুব কৌতুহল হতো, তাই তো! সেদিন আমি স্কুল থেকে ফিরে, মাকে সরাসরিই জিজ্ঞাসা করলাম, মা, তুমি ন্যাংটু থাকো কেনো?সাগর পারে আমাদের বাড়ী। মা মুচকি হেসে আমাকে নিয়ে বাড়ীর বাইরে সাগর পারেই হাঁটতে বেড়োয়। নিম্নাঙ্গে লাল সবুজের জমিনে, জংলী ছিটের ডোমা। নগ্ন বক্ষে গলায় কিছু পূতির মালা, নগ্ন বক্ষটাকে আরো বেশী চমৎকার করে ফুটিয়ে রাখে। মাথায় বেতের টুপি, খানিকটা রাজরানীর মতোই লাগতো দেখতে। হাঁটার ছন্দে ছন্দে তার সুডৌল নগ্ন স্তন দুটিও চমৎকার দোলতে থাকে। আমি মুগ্ধ হয়েই সে দৃশ্য দেখতাম। খানিকটা ঝুলা ঝুলা ভাব থাকলেও যথেষ্ঠ সুঠাম। বৃন্ত প্রদেশ ঘন খয়েরী, ঈষৎ প্রশস্থ। বোটা দুটিও স্পষ্ট। 
মা হাঁটতে হাঁটতেই বলতো, এটাকে ন্যাংটু বলে না। এটা আমাদের কালচার।
আমি অবাক হয়েই বলতাম, কালচার?
মা বলতো, হ্যা, আমরা বাঙ্গালী হলেও, এই দেশেরই সাধারন এক উপজাতি। আমাদের ভাষাও যেমনি ভিন্ন, সংস্কৃতিও ভিন্ন। আমাদের সংস্কৃতিতে মেয়েরা এমনই। 
আমি বলতাম, কি জানি? লোকে কিন্তু তোমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করে।
মা মিষ্টি হাসিতেই বলতো, কারো হাসাহাসিতে তো আর নিজ সংস্কৃতিকে বাদ দিতে পারি না!

মা আমাকে নিয়ে ফিরে আসতো আবারো বাড়ীতে। বারান্দার সিঁড়িটাতে বসে আবারো বলতে থাকে, শোনো খোকা, মানুষের কথায় কান দেবে না। যার যার ধর্ম কিংবা সংস্কৃতি তাদের কাছে খুবই মূল্যবান। আমি তো আর ইচ্ছে করেই এই বাড়ীতে আসিনি? তোমার বাবা আমাকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো। আমাদের রীতী নীতী সংস্কৃতি সব জেনে শুনেই আমাকে বিয়ে করেছিলো। আমাকে দেখে কি তোমার খারাপ লাগে?
পৃথিবীতে সবার মা ই বুঝি এক, তা যে কোন দেশ, জাতি কিংবা ধর্মেরই হউক না কেনো। আমিও আমার মাকে খুব ভালোবাসি। আমি বললাম, না মা, তার জন্যে বলছি না। আজকেও স্কুল ফেরার পথে বন্ধুরা সবাই বলাবলি করছিলো, তাই বললাম আর কি।
মা বললো, শোনো খোকা, যারা যা দেখে অভ্যস্থ নয়, তারাই এমন হাসে। আমি তো আর কোন অশিক্ষিত মেয়ে নই। ইউনিভার্সিটিতেও লেখাপড়া করেছি। মাঝে মাঝে খুব শখ করে ইউনিভার্সিটি আঙ্গিনাতেও যখন এমন নগ্ন বক্ষে ডোমা পরে হাঁটতাম, তখন অনেকেই হাসতো, টিটকারীও করতো। অথচ, তোমার বাবা আমার এমন পোশাক দেখেই প্রেমে পরে গিয়েছিলো। তার জন্যে তোমার বাবাকেও যে সবাই টিটকারী করতো না, তাও কিন্তু নয়। তোমার বাবা বুক ফুলিয়েই আমাকে নিয়ে সারা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ঘুরে বেড়াতো। কাউকেই পাত্তা দিতো না।
আমি কিছুক্ষণ চুপচাপই থাকি। বললাম, স্যরি মা। আমি আসলে এসব জানতাম না। আমিও এখন থেকে আর কাউকে পাত্তা দেবো না মা।

মা স্নেহভরা ঠোটেই হাসে। বলতে থাকে, আমার কাছে সব জাতি ধর্মই সমান। কোন না কোন কারনে এক একটি জাতি কিংবা ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিলো। আর সবাই চায় নিজ নিজ রীতী নীতী সংস্কৃতিগুলোকে টিকিয়ে রাখতে। একটা শিক্ষিত মেয়ে হিসেবে আমিও তা চাই। আমাদের সংস্কৃতিতে, মেয়েদের নগ্ন বক্ষে থাকার যথেষ্ট কারন আছে। আমিও চাই, তোমার ওসব এখন থেকেই জানা উচিৎ। মেয়েদের সত্যিকার এর সৌন্দর্য হলো তাদের বক্ষে। এই সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার জন্যে নয়। এটাই আমাদের রীতী। কিন্তু বাঙ্গালী ছেলেরা ভুল করে। ওরা খুব লোভনীয় দৃষ্টিতেই আমাদেরকে দেখে। তুমি সে ভুল কখনো করবে না।

আমি বললাম, জী না মা। আমি তা কখনোই করি না। আজকাল তো বড় আপুও নগ্ন বক্ষে থাকে। আমার খুব ভালো লাগে। দেখতে দেখতে আমিও অভ্যস্থ হয়ে গেছি।
মা বললো, ঠিক বলেছো, পাপড়িকে নিয়ে আমার কোন ভাবনা নেই। ইদানীং নগ্ন বক্ষে কলেজেও তো যায়। সমস্যা হলো মৌসুমীকে নিয়ে। কেমন যেনো একটু লাজুক স্বভাবের। 
আমি বললাম, ছোট আপু সত্যিই অন্য রকম। অনেক বাঙ্গালী বান্ধবী। আমার সাথে তো কেউ মিশতেই চায় না। অথচ, ছোট আপু আমার সাথেও শুধু ঝগড়া করে।
মা ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো, তার জন্যে দুঃখ করছো? আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, তখন আমারও কোন বান্ধবী ছিলো না। ছাত্রী হলে থাকতাম। রুমমেইটরা সবাইও জংলী বলে ডাকতো। আমি কিন্তু পাত্তা দিতাম না। 
এই বলে মা উঠে দাড়ায়। অতঃপর, ভেতর বাড়ীতেই ঢুকে। আমি উঠানে দাড়িয়ে চুপচাপ শুধু ভাবি।আমি তখন ক্লাশ এইটে পড়ি। যৌনতার ব্যাপারগুলো ভালো বুঝি না। তবে মা কিংবা বোনদের নগ্ন বক্ষ দেখি, তখন কেমন যেনো ভিন্ন ধরনের অনুভূতিই জাগে দেহে।
আমরা তিন ভাই বোন। পাপড়ি আমার চার বছরের বড়, মৌসুমী পিঠেপিঠি এক বছরেরর বড়, আর ইলা আমার দু বছরের ছোট। 
বড় আপু তখন কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। কলেজে ভর্তি হবার পর থেকেই বোধ হয়, ঘরের বাইরেও নগ্ন বক্ষে চলাফেরা করতে শুরু করেছিলো। এমন কি কলেজেও নগ্ন বক্ষে যতায়াত করতো খুব সহজেই।
আমার বড় বোন পাপড়িও কিছুক্ষণ পর উঠানে নেমে আসে, নগ্ন বক্ষে। নিম্নাঙ্গে সবুজ জমিনের উপর জংলী ছিটের ডোমা। সঠিক প্রাপ্ত বয়সের কারনেই কিনা, বড় আপুর দুধগুলো অদ্ভুত সুন্দর লাগে। ধরতে গেলে মায়ের দুধগুলোর সমান সমান।আমি খুব মুগ্ধ হয়েই পাপড়ির নগ্ন বক্ষ দেখি। খুব ভালো করে তাকালেই মনে হয়, দুধগুলো কেমন যেনো  মায়ের দুধগুলোর চাইতে খানিকটা ঝুলে গেছে। তারপরও কেনো যেনো আরো বেশী সুন্দর লাগে।
বড় আপু উঠানে নেমে মাথাটা কাৎ করে বলে, কি ব্যাপার? এই সময়ে ছেলেরা বাড়ীতে থাকে নাকি?
আমি আমতা আমতা করেই বলি, কোথায় যাবো?
বড় আপু বলে, কেনো? মাঠে, একটু খেলা ধূলা!
সত্যি কথা বলতে, তখন আমার কোন ভালো বন্ধুই ছিলো না। বরং সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসিই করতো। আমার তখন খুব খারাপ লাগতো। চোখ বন্ধ করে সব সহ্য করতাম। আমি আবারো আমতা আমতা করেই বললাম, না মানে, আমার কোন বন্ধু নেই।
বড় আপু আমার দিকে খানিকক্ষণ চোখ সরু করে তাকিয়ে থাকে। তারপর বললো, ইদানীং লক্ষ্য করছি, তুমি আমার সামনে দাড়ালে, খুব সহজ ভাবে কথা বলতে পারো না। তোমার সমস্যাটা কি?
আমি আবারো আমতা আমতা করতে থাকি। বলতে থাকি, আমার আবার সমস্যা কি? কেউ বন্ধু হতে না চাইলে, আমি কি করবো?
বড় আপু বললো, আমি সেই কথা বলছি না। আজকাল আমার সাথে কথা বলার সময় তুমি কেমন জানি জড়তা নিয়ে কথা বলো।

আমি পাপড়ির কথা কিছুই বুঝতে পারি না। তবে এটা বুঝি, মায়ের নগ্ন বক্ষ দেখে যতটা না সহজ থাকি, পাপড়ি কিংবা মৌসুমীর নগ্ন বক্ষ দেখলে, আমি অতটা সহজ থাকতে পারি না। আমি হা করেই তাকিয়ে থাকি পাপড়ির দিকে।

পাপড়ি নিজে থেকেই বলতে থাকে, কলেজেও ক্লাশমেইট অনেক ছেলেদের সাথে যখন কথা বলতে চাই, তখন তাদেরও এমন দেখি। আমি নগ্ন বক্ষে চলা ফেরা করি, তার জন্যে নয় তো?
বড় আপুর অনুমানটা আমার কাছে কেমন যেনো খুব সত্যি বলেই মনে হলো। মাও সব সময় নগ্ন বক্ষে থাকে। তার সামনে দাড়িয়ে কথা বলতে আমি কখনোই জড়তা অনুভব করি না। আমার সমস্যাটা হয়, যখন বড় আপুর কিংবা ছোট আপুর সামনে দাড়িয়ে কথা বলি। বোধ হয় বয়সেরই কিছু ব্যাপার স্যাপার।
নিসঃন্দেহে বড় আপু, খুব অল্প সংখ্যক সুন্দরী মেয়েদের একজন। আমার চাইতে চার বছরের বড় হলেও, ষোল বছর বয়সের পূর্ণ যুবতী। আয়তাকার চেহারা, ঠোটগুলো খুবই সরু, গোলাপী। আর নগ্ন দুধগুলোর মাঝে কি আছে জানিনা, দেখলে আমার মাথাটাই ঠিক থাকে না। কেমন যেনো উত্তপ্ত হতে থাকে। বৃন্ত প্রদেশ মায়ের বৃন্ত প্রদেশ গুলোর চাইতেও খানিক প্রশস্থ। খানিক হালকা খয়েরী। গায়ের রং খুব বেশী ফর্সা বলে, বৃন্ত প্রদেশের রং আবছা আবছাই লাগে। তবে বোটা দুটি মায়ের মতোই স্পষ্ট।
আমি আবারো আমতা আমতা করি। বললাম, না মানে, তোমার দুধগুলো খুব বেশী সুন্দর!
বড় আপু খানিকটা রাগ করা গলাতেই বললো, খোকা, খুব পেকেছো।

বড় আপুর কথা আমি ভালো বুঝি না। আবারো হা করে তাকিয়ে থাকি। বড় আপুও বুঝতে পারে আমার মনের অবস্থা। নিজে থেকেই আবারো বলতে থাকে, সব মেয়েদের দুধই সুন্দর। বাঙ্গালী মেয়েরা দেখায় না, তাই তোমার জানা নেই।
আমি বললাম, ও!
আমার কথা বড় আপু কেমন যেনো হতাশই হয়। বললো, খোকা, আমার কি মনে হয় জানো, তোমারও বয়স হচ্ছে।
আমি বললাম, বয়স তো সবারই হয়!
বড় আপু বললো, আমি সেই কথা বলছি না। একটা বয়স হলে ছেলেদের ওটা খুব নাচানাচি করে। আমারও জানা ছিলো না। এই কয়দিন ধরে যখন নগ্ন বক্ষে কলেজে যাচ্ছি, তখন নুতন নুতন অনেক কিছুই জানতে পারছি।
আসলে প্যান্টের তলায় আমার শিশ্নটাও খুব নাচানাচি করছিলো। বড় আপুর কথায় আমি খুব লজ্জিতই হলাম। আমতা আমতা করেই বললাম, সব সময় না।
বড় আপু খুব সহজ গলায় বললো, জানি। আমাকে যখন দেখো তখন, তাই তো?
আমি উপর নীচ মাথা দুলিয়ে বললাম, হুম।
বড় আপু বললো, কিন্তু কেনো?  
বড় আপুকে কেমন যেনো অস্থিরই লাগে। সেই কেনোর উত্তর আসলে, তখন আমারও জানা ছিলো না। আমি খুব সহজ ভাবেই বললাম, মেয়েদের নগ্ন বক্ষে থাকা বোধ হয় ঠিক না।
পাপড়ি, আমার সব চাইতে বড় বোন। মাঝে মাঝে শসন করা গলায়ও কথা বলে। সে খানিকটা রাগ করেই বললো, তুমি সিদ্ধান্ত নেবার কে?

আমারও বয়সটা তেমন। বড়রা কিছু বললে, মুখে মুখে কথা বলতে পারতাম না। আমি আমতা আমতা করেই বলি, সিদ্ধান্ত নিলাম কোথায়? 
বড় আপু বললো, এই তো বললে, মেয়েদের নগ্ন বক্ষে থাকা বোধ হয় ঠিক না। কেনো ঠিক না, তার ব্যাখ্যা করো!
আমি বললাম, জানি না। আজকাল তোমাকে দেখলে, আমার শিশ্নটা সত্যিই খুব নাচানাচি করে।
বড় আপু মাথাটা কাৎ করে বললো, কই, দেখি তো? কেমন নাচা নাচি করে?
আমি আমতা আমতা করে বলি, বড় আপু! আমার লজ্জা করে!
বড় আপু বললো, তাহলে থাক। এমনিতেই কৌতুহল হচ্ছিলো। চলো হাঁটি।
আমি বড় আপুর সাথেই উঠান থেকে বেড়িয়ে বাইরে হাঁটতে বেড়োই। পড়ন্ত বিকেলে তেমনি অনেকেরই হাঁটা হুঁটা বাইরে। সবার পরনেই সঠিক পোশাক থাকে। বড় আপুর পরনেই শুধু ডোমা, নিম্নাঙ্গে। উর্ধাঙ্গে গভীর নাভী সহ স্তন দুটি পুরুপুরিই নগ্ন। বড় আপু খুব সহজ ভাবেই হাঁটতে থাকে। তখন সবার দৃষ্টি থেমে যায়, স্থির থাকে বড় আপুর নগ্ন বক্ষের দিকেই। অথচ, বড় আপু তেমন একটা পাত্তা দেয়না কাউকে।
বাবা এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী। এলাকায় বাবারও একটা দাপট আছে। তাই পাপড়ির নগ্ন বক্ষের দিকে সবাই কৌতুহলী দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকলেও, মুখে কিছুই বলে না।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তার মোড় পর্যন্তই এগিয়ে যাই। অনেক অনেক চোখ বড় আপুর নগ্ন বক্ষের দিকে নিক্ষিপ্ত থাকে। 

কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যে করে, তার লজ্জা করে না। যারা দেখে, তাদেরই বুঝি বেশী লজ্জা লাগে। বড় আপুর নগ্ন বক্ষের দিকে যখন সবাই তীর এর মতো চোখ ফেলছিলো, তা দেখে আমারই কেমন যেনো লজ্জা লাগতে থাকে। আমি বিড় বিড় করেই বললাম, আপু, তোমার লজ্জা লাগছে না?
বড় আপু আমার দিকে তাকায়। মিষ্টি করেই হাসে, গোলাপী সরু ঠোটে। বললো, কিসের লজ্জা! আমার তো খুব ভালোই লাগছে! সবার মাঝে একটু ব্যাতিক্রম!
বড় আপু উল্টু ঘুরে বাড়ীর পথে চলতে চলতে বললো, আসলে বাঙ্গালী মেয়েদের যেমনি সাহস নেই, বাঙ্গালী ছেলেদের মাথায়ও বুদ্ধি নেই।
আমি বললাম, তাই নাকি? কিন্তু, সবাই তো আমাদেরকে আদিম যুগের মানুষ বলে!
বড় আপু বললো, ওরা বোকা, তাই!
আমি বললাম, ও! 
আমার উত্তরে বড় আপু সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। এগুতে এগুতেই বলতে থাকে, এই তো দেখলে! সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কিন্তু কেউ কাছে আসার সাহস পাচ্ছে না। কলেজে গেলেও আমার একই অবস্থা। সবাই তাকিয়ে থাকে। অথচ, কোন একটা ছেলের সাথে কথা বলতে গেলেই কেমন যেনো ওদের হাত পা কাঁপে। এমন কি টীচারদেরও, প্রিন্সিপাল স্যারেরও।
আমি বললাম, মেয়েদের এমন নগ্ন বক্ষ দেখে তো কেউ অভ্যস্থ না, তাই বোধ হয়।
বড় আপু বললো, আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু আমি বুঝি না, মেয়েরা নগ্ন বক্ষে থাকলে ছেলেদের এত কি সমস্যা? ছেলেরা নগ্ন বক্ষে চলাফেরা করে না? আসলেই একটা অদ্ভূত দেশ! এর চাইতে মামার বাড়ী অনেক ভালো।

বাড়ীতে ফিরে, বড় আপু উঠানে মাদুরটা পাতার উদ্যোগ করে খানিকটা ঝুকে। যখন ঝুকে ঝুকে মাদুরটা পাতছিলো, তখন তার সুডৌল স্তন দুটিকে আরো চমৎকার লাগছিলো। স্তন দুটির সঠিক রূপ বোধ হয় তখনই প্রকাশ পাচ্ছিলো।  
 
আমি আপন মনেই ভাবতে থাকি, জাতিতে জাতিতে এত পার্থক্য কেনো? একটাই তো দেশ! তারপরও অনেক ধর্ম, অনেক জাতি। সবার সংস্কৃতিও ভিন্ন। 
বড় আপু মাদুরটায় কাৎ হয়ে বাম কনুইয়ের উপর ভর করে শুয়ে বললো, আবার কি ভাবছো?
আমি বললাম, না মানে, মামার বাড়ীতে কখনো যাইনি। ওখানে কি সব মেয়েরাই এমন নগ্ন বক্ষে থাকে?

বড় আপু বললো, গিয়েছিলে, বোধ হয় খুব ছোট ছিলে। তোমার মনে নেই। আমিও সেই একবারই গিয়েছিলাম। 
আমি বললাম, হতে পারে, আমার সত্যিই মনে নেই। খুব যেতে ইচ্ছে করে।
বড় আপু বললো, আমারও। ভাবছি, এবারের গরমের ছুটিতে সবাই মিলে যাবো। বড় খালা, মেঝো খালা, ছোট খালা, মামানী, ওদের খুব দেখতে ইচ্ছে করে। 
আমার মনটাও তখন খুব উদাস থাকে। মনে মনেই মামার বাড়ীর একটা দৃশ্য এঁকে নিই মনের পটে। সেখানকার পরিবেশ, আর মেয়েদের চলাফেরা। মনে হতে থাকে, বোধ হয় এক স্বপ্নেরই দেশ। ভাবতে থাকি, গরমের ছুটিটা কবে আসবে? খুব কৌতুহলী হয়েই বলতে থাকি, তাহলে তো খুব মজার!আমার ছোট বোন ইলা। তারও তেমন খুব একটা বান্ধবী নেই বললেই চলে। স্কুলে স্কুল ড্রেস পরেই যায়। বাড়ীতে ফিরে এলে মা কিংবা আমার অন্য বোনদের মতোই, নগ্ন বক্ষে নিম্নাঙ্গে খাট ধরনের কিছু ডোমা পরে সারা বাড়ী চঞ্চলা হরিনীর মতোই ছুটে বেড়ায়।

ক্লাশ সিক্সে পড়ে, বাড়ন্ত বয়স। যেমনি শিশু সুলভ চেহারা, ঠিক তেমনি স্তন দুটিও তখন যথেষ্ট চৌকু হয়ে ফুলে ফেপে উঠছিলো। ধরতে গেলে বাড়ীর মধ্যমণি। সবারই খুব আদরের।

সেদিন আমি স্কুল থেকে ফিরে নাস্তাটা শেষ করে, খেলার মাঠে যাবো বলেই ভাবছিলাম। ইলাকে দেখলাম, সাগর পারে একাকী বসে আছে একটা পাথর এর উপর। আমি এগিয়ে যাই সেদিকেই। 

ইলার বাড়ন্ত বয়সের দুধগুলোও আমাকে খুব পাগল করে। অসম্ভব চৌকু। বৃন্ত প্রদেশ খুব বেশী প্রশস্থ না, তবে রংটা মায়ের মতোই ঘন খয়েরী। বোটা দুটিও খুব ছোট ছোট। দেখলে লজ্জার চাইতে আদর করতেই বুঝি বেশী ভালো লাগে। 
আমি কাছাকাছি গিয়ে বললাম, একা একা কি করছো?
ইলা তার মিষ্টি দাঁতে হাসলো। বললো, কি আর করবো? এমনিতেই বসে আছি।

আমি আমার অন্য বোনদের সাথে যতটা না সহজ ভাবে কথা বলতে পারি, ইলার সাথে খুব সহজেই আলাপ চালাতে পারি। হয়তো বা বয়সে ছোট বলে। বললাম, ও! আমিও মাঠে যাচ্ছিলাম। ভাবছি আর যাবো না। মাঠে গিয়ে কি করবো? কেউ খেলাতে ডাকে না।ইলাও খুব খুশী হয়। বলতে থাকে, তাহলে তো খুবই ভালো। বিকেল বেলায় আমারও একা একা ভালো লাগে না। আমার সাথেও কেউ মিশতে চায়না। আচ্ছা ভাইয়া, আমরা কি সত্যিই জংলী?

তখনও আমার ভালো বুদ্ধি হয়নি। খানিকটা অন্যমনস্কও থাকি। ইলা কি বলছিলো, কানে এলেও, মাথাটা ঠিক কাজ করে না। আমি ইলার দুধগুলোর দিকে তাকিয়ে বললাম, তোমার দুধগুলো কিন্তু খুব সুন্দর!

ইলা মনটা খানিক গর্বিতই হয়ে উঠে। বললো, ভাইয়া, আমার দুধগুলোই কি শুধু সুন্দর?
আমি ইলার সামনা সামনিই বসি। বললাম, না ইলা, তুমিও খুব সুন্দরী! বড় হলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
ইলার চোখ দুটি হঠাৎই সরু হয়ে যায়। চোখ কুচকে বললো, এসব কি বলছো ভাইয়া? ভাই বোনে কি বিয়ে হয়?
আমি হঠাৎই বোকা বনে যাই। আমতা আমতা করেই বললাম, কি জানি? কিন্তু, তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি। 
ইলা বললো, জানি ভাইয়া। আমিও কি তোমাকে কম ভালোবাসি? ওসব হচ্ছে ভাইবোনের ভালোবাসা। 
আমি বললাম, ও! ভাইবোনে বিয়ে করলে কি হয়?
ইলা বললো, ভাইয়া, তুমি আসলেই বোকা। ভাই বোনে কখনোই বিয়ে হয় না। কেনো হয়না, তা আমিও জানি না। সবাই তা বলে।
আমি অবাক হয়ে বলি, সবাই মানে?

ইলা উঠে দাড়ায়। দু হাত বুকের উপর ভাঁজ করে বললো, সবাই মানে সবাই! মাও বলে, বাবাও বলে। চলো, হাঁটি।
আমি ইলাকে নিয়ে হাঁটতে থাকি। খুব বেশী দূরে না। পাশাপাশি বাড়ী গুলোর সামনের রাস্তা ধরেই। নিজেকে কেমন যেনো প্রেমিক প্রেমিকই মনে হয়। ইলা হাঁটতে হাঁটতেই বললো, ভাইয়া, বিয়ের মানে বুঝো?
আমি বললাম, বুঝবো না কেনো? যাকে খুব বেশী ভালো লাগে, তাকে নিয়ে সারা জিবন এক সাথে থাকা।
ইলা থেমে দাড়িয়ে, দূর আকাশের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারপর উদাসী গলাতেই বলে, হুম, ভুল কিছু বলো নি। তোমার কি আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালো লাগে না?
আমি বললাম, লাগবে না কেনো? মা, বড় আপু, ছোট আপু সবাইকেই ভালো লাগে। কিন্তু, ছোট আপু তো সব সময় আমার সাথে ঝগড়াই করে।
ইলা আবারো হাঁটতে থাকে। বললো, ভইয়া, তোমার গণ্ডীটা খুব ছোট। আমি জানতে চাইছি, আমাদের পরিবার এর কেউ ছাড়া।
আমি বললাম, ও! সুমিকে, তোমাদের ক্লাশেই তো পড়ে। একটু অহংকারী। 
ইলা বললো, এই কথা আমাকে বলবে না? সুমি মোটেও অহংকারী না। স্কুলে গেলে তো ওর সাথেই আমার বেশী কথা হয়। 
আমি বললাম, ও, তাই নাকি? কিন্তু ওর সাথে কথা বলতে আমার খুব ভয় করে।

ইলাও ছোট গলিটার মাথায় গিয়ে, উল্টু ঘুরে, মাথায় হাত চেপে বললো, ভয়? কেনো?
আমি বললাম, জানি না। কেমন যেনো একটু আধুনিকা। ওর বাবাও তো সরকারী অফিসার।
 
ইলা হাঁটতে হাঁটতেই বলে, তোমার ধারনা ঠিক নয় ভাইয়া। আমার খুব বেশী বান্ধবী নেই, তবে সুমির সাথে প্রায়ই কথা হয়, আমি ক্লাশের ফার্স্ট গার্ল বলে। ও কিন্তু আমাদের কালচারটাকে খুব পছন্দ করে।
আমি বললাম, বলো কি? ওকে দেখলে কিন্তু এমন হয় না।
ইলা বললো, মানুষের চেহারা দেখে কি সব কিছু বুঝা যায়? যায়না। সুন্দরী অনেক মেয়ে দেখে মনে হয় খুবই অহংকারী, অথচ তাদের মনটা থাকে মোমের মতো। আবার কোন কোন কুৎসিত মেয়ে দেখে মনে হয়, খুব বুঝি অসহায়। ঢাকনা খুললেই বুঝা যায় কে কেমন?
 
আমি ইলার দিকে খুব তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকি। বললাম, এত সুন্দর করে তুমি কথা বলো কি করে?
ইলা বললো, সুন্দর কথা বলার জন্যে সুন্দর একটা মন লাগে। তারপরও অনেকে গুছিয়ে বলতে পারে না। যারা বলতে পারে, তারাই সার্থক। থাক ওসব কথা। তাড়াতাড়ি বাড়ী চলো।
এই বলে ইলা খানিকটা দ্রুতই হাঁটতে থাকে।
 
আমি ইলার সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে পারছিলাম না। আমিও হাঁটার গতি খানিকটা বাড়িয়ে বললাম, হঠাৎ এত তাড়াহুড়া করছো কেনো? 
ইলা ফিশ ফিশ করে বললো, দেখছো না, চারিদিকে কত চোখ! সবাই আমাদের জংলী বলে, আমার তো মনে হয় ওরা সবাই পশু!

ইলা বয়সে আমার ছোট হলেও, কেনো যেনো মনে হয়, আমার চাইতে পার্থিব অনেক কিছুই বেশী বুঝে। আমিও চারিদিক তাকিয়ে বুঝতে পারি, অনেক শকুনী চোখই ইলার দিকে। কিন্তু একটা লোক কেমন যেনো পশুর মতোই ছুটে আসছিলো আমার দিকে। আমার বুঝতে কষ্ট হয় না, লোকটির কুমতলবের কথা। আমি আর কথা বাড়াই না। ইলাকে নিয়ে দ্রুত বাড়ীর পথেই ছুটতে থাকি।

সংস্কৃতি বুঝি এমনই। এক জাতির কাছে যা খুবই সহজ, অন্য জাতির কাছে তা বেমানান, অসভ্যতা। তাই যুগে য়ুগে জাতিতে জাতিতে যুদ্ধও ঘটে গেছে। ভালোবাসার কাছে সব যুদ্ধই পরাজিত, যদি তা কেউ জয় করে নিতে পারে।
আমি আর ইলা কোন রকমেই বাড়ীর উঠানে এসে পৌঁছি। ইলাও খানিকটা হাফ ছেড়ে বাঁচে। বললো, এই জন্যেই আমি খুব বেশী দূরে যেতে চাই না। লোকটাকে দেখেছো? কেমন পশুর মতো ছুটে আসছিলো! 
পশুত্বের ব্যাপারগুলো তখনো আমি ভালো বুঝি না। তারপরও সেদিন প্রথমই অনুভব করলাম, মেয়েদের নগ্ন বক্ষের প্রতি অনেকের লোভও থাকে। ছুটে ছুটে বাড়ীর উঠানে পা দিয়ে আমিও খানিকটা হাপাতে থাকি। হাপাতে হাপাতেই বলি, তুমি ভেতরে যাও ইলা, আমি লোকটাকে একটু দেখে আসি।
ইলা শান্ত গলাতেই বললো, দরকার নাই ভাইয়া, ওরা এমনই। বোধ হয় দেখে অভ্যাস নেই। 
আমি বললাম, তাই বলে?
ইলা বললো, আমারও উচিৎ হয়নি বাড়ী থেকে বেড়িয়ে এতটা দূর যাওয়া। 
আমি বললাম, সমস্যা কি? বড় আপু তো নগ্ন বক্ষে কলেজেও যায়।
ইলা বললো, বড় আপু আর আমার বয়স তো আর এক না! ওই বয়সে আমারও কোন ভয় থাকবে না।আমার মেঝো বোন মৌসুমী, আসলেই একটু লাজুক। বাড়ীর ভেতর নগ্ন বক্ষে চলাফেরা করলেও, বাড়ীর বাইরে গেলে একটা ওড়না তার ঘাড়ের উপর থাকেই।

বয়সটাও তেমন, আমার পিঠেপিঠি বড় বোন। স্কুলে এক ক্লাশ উপরে থাকারই কথা, অথচ শৈশব থেকেই একই ক্লাশে পড়তাম। অনেকটা বন্ধুরই মতো, তবে ঝগড়াটাই যেনো বেশী হতো।

পৃথিবীতে সুন্দরী মেয়ে তো অসংখ্যই আছে। কিছু কিছু মেয়ে আছে, যাদের সৌন্দর্যের সাথে খুব কম মেয়েদেরই তুলনা চলে। মৌসুমী ঠিক তেমনি এক সুন্দরী মেয়ে, যার সঠিক ব্যাখ্যা আমি কখনোই দিতে পারি না। গায়ের রংটাও এত মিষ্টি যে, শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে। ফিগারটাও অসাধারন রকমের চমৎকার, দেহের জায়গা মতো যেসব জিনিষগুলো যেমন থাকা উচিৎ, ঠিক তেমনিই।

এমনিতে মনে কোন অহংকার নেই, তবে আমার সাথে কেনো জানি ঝগড়া করতেই খুব পছন্দ করে। সেদিনও উঠানে নামলো হলদে রং এর একটা ডোমা পরে। তবে, একটা পাতলা সাদা ওড়না ঘাড় এর পেছন থেকে চেপে, নগ্ন স্তন দুটি ঢাকারই চেষ্টা করছিলো।

দেখতে দেখতে মৌসুমীর দুধগুলোও যথেষ্ট বড় হয়ে উঠেছিলো। বেলের চাইতেও খানিক বড়, গোলাকার। খুবই লোভনীয়, তাই বুঝি সবাইকে দেখাতে চায় না।

আমার সাথে মৌসুমীর তুই তোকারী সম্পর্ক। মৌসুমী উঠানে নামতেই বললাম, আবারো ঢেকে রেখেছিস। ওগুলো দেখালে কি আমি খেয়ে ফেলবো?মৌসুমী মুচকি হেসেই বললো, তুই খেলেই কি আর না খেলেই কি? তোর জন্যে ঢেকে রাখি নাকি? 
আমি বললাম, মানে?
মৌসুমী বললো, শোন, আমি অত বোকা না। সব বুঝি! ইলাকে নিয়ে তো হাঁটতে গেলি, কেমন দৌঁড়ে পালিয়ে এলি, নিজেই বল!

মৌসুমীর কথাগুলো আমি অনুভব করি হাঁড়ে হাঁড়ে। বললাম, একটা দুষ্ট লোক আমাদের পেছনে ধাওয়া করছিলো।
মৌসুমী তার সুদৃশ্য সুডৌল স্তন দুটি নগ্ন করে, ওড়নাটা মাথাতেই চাপিয়ে রাখে। তারপর খানিকটা ঝুকে দাড়িয়ে বললো, ওই দুষ্ট লোকদের জন্যেই ঢেকে রাখি। 
আমি মৌসুমীর নগ্ন বক্ষের দিকেই তাকিয়ে থাকি। বৃন্ত প্রদেশ অনুরূপ মায়ের মতোই প্রশস্থ, ঘন খয়েরী। তবে, বোটা দুটি মায়ের চাইতে অনেক ছোট। কিন্তু খুবই স্পষ্ট। মৌসুমী চোখ দুটি পাকিয়ে বললো, কিরে? যেভাবে তাকিয়ে আছিস, মনে তো হচ্ছে এখুনিই খুব খেতে ইচ্ছে করছে!
আমি খানিকটা লজ্জিতই হই। অন্যত্র তাকিয়ে বললাম, ওসব কেউ খায় নাকি?
মৌসুমী বললো, খায় খায়! এক খায় শিশুরা, আরেক খায় বড় হলে। তুইও খেতি, শিশুদের খাবার, মায়েরগুলো। আমার গুলো এখন বড়দের খাবার।
আমি মৌসুমীর কথা ঠিক বুঝতে পারি না।

মৌসুমী মাথার উপর থেকে ওড়নাটা সরিয়ে নিয়ে দেহের পেছনে দু হাতে ছড়িয়ে ধরে, লোভনীয় বেলের মতো গোলাকার স্তন দুটি মৃদু দুলিয়ে, মিষ্টি দাঁতে খিল খিল করে হাসতে থাকে। বলতে থাকে, অবশ্য তুই খেতে চাইলে আমি না করবো না।
আমি মৌসুমীর স্তন দুটি মুগ্ধ চোখেই দেখি কিছুক্ষণ। হঠাৎই মনে হয়, মেয়েদের বুকের দুধ যেনো সত্যিই কোন লোভনীয় খাবার। আর তাই বুঝি সব মেয়েরা একটু ঢেকে ঢুকে রাখে।
আমার কি মনে হয় জানি না। মনে মনেই ভাবি, যদি খেতে হয়, সুমির গুলোই খাবো। ওর দুধগুলো কেমন কে জানে? পোশাকের আঁড়ালে তো খুব সুন্দরই মনে হয়। আমি বললাম, মরে গেলেও না।
মৌসুমী বললো, কেনো? আমার গুলো কি দেখতে খুব খারাপ? 
আমি বললাম, তার জন্যে না। তুই তো একটা ঝগড়াটে মেয়ে। আবার কি ঝগড়া করিস কে জানে?
মৌসুমী কিছুক্ষণ চুপচাপই থাকে। তারপর বলে, আমি ঝগড়া করি, নাকি তুই? তুই আমার এক বছরের ছোট, অথচ আমাকে অংক শেখাতে আসিস, আমার বুঝি রাগ হয় না!
আমি বললাম, শেখাতে চাই তো তোর ভালোর জন্যে। অংকে যেনো ফেল না করিস। তুই ফেল করলে আমার কিন্তু খুব খারাপ লাগে।
মৌসুমী অন্যমনস্ক হয়ে কি জানি ভাবে। ওড়নাটা মাথার উপর গাছের ডালে ঝুলিয়ে, গাছের ডালটা ধরেই দুলতে থাকে কিছুক্ষণ।

মৌসুমী আহলাদী গলাতেই বলতে থাকে, অংক শেখাতে আমারও আপত্তি নাই। তবে টীচারদের মতো অত মুরুব্বীয়ানা আমার সাথে দেখানি না।  
আমি বললাম, মুরুব্বীয়ানা কোথায় করি? সহজ একটা অংক যখন পারিস না, তখন একটু রাগ উঠে।
 
মৌসুমীর মনটা খানিক উদাসই থাকে। বললো, অংক নাপারাও মেয়েদের একটা বিশেষ গুন। কই, টীচাররা তো আমার উপর কখনোই রাগ করে না। ফেলও তো করায় না।
 
মৌসুমীর সাথে আমার কথাবার্তাগুলো এমনই থাকে। আর ঝগড়া করার মূল সূত্রটাও তাই। মৌসুমী বয়সে আমার চাইতে এক বছরের বড়, অথচ আমার সাথে একই ক্লাশে পড়ে, কিন্তু অংকে কাচা। অংকের ব্যাপারে বরাবরই সে উদাসীন। অথচ, সেই ব্যাপারে তার কোন মাথা ব্যাথাই নেই। কিন্তু, মৌসুমীর প্রতি বরাবরই একটা আলাদা টান কাজ করে আমার। আমিও চাই না, সে অংকে ফেল করুক। তাই, যেচে পরে প্রতিদিন অংকের বাড়ীর কাজটা শেখাতে চাই। এমন কি পরীক্ষার আগের রাতেও, নিজের অংক রেখে ওকেই শুধু শেখাই। 
আমি বললাম, ফেল করাবে কি করে? সব তো আমি আগেই শিখিয়ে দিই।
 
মৌসুমীর কি হয় বুঝি না। বললো, হ্যা, এখন থেকে আরো বেশী বেশী শিখাবি, আমিও তোকে অনেক কিছু শেখাবো, যেগুলো তুই জানিস না।
আমি বললাম, কি শিখাবি? আমি তো সব জানি!
মৌসুমী বললো, কচু জানিস! আচ্ছা, বলতো সষ্ঠু মানে কি?

পড়ালেখায় আমি কখনোই খারাপ ছিলাম না। পাঠ্য বই এর আগা থেকে গোড়া পর্য্যন্ত সবই পড়ি। ক্লাশে ফার্স্ট হতে না পারলেও, সব সময় খুব ভালো রেজাল্টই করি। কিন্তু সষ্ঠু শব্দটা বইতে পড়েছি বলে মনে হয় না। আমি বললাম, জানি না।

মৌসুমী আমাকে ইশারা করে, আয় শিখিয়ে দিচ্ছি।
 
তারপর কি হলো নিজেও বুঝলাম না। অনুমান করলাম, আমার ঠোটগুলো মৌসুমীর উষ্ণ ঠোট দুটির ভেতর। তার উষ্ণ জিভটা আমার জিভটাকে শুধু প্যাচিয়ে প্যাচিয়ে ধরছে। একটা মিষ্টি রস আমার জিভে পৌঁছে, দেহটাকেও কেমন যেনো উষ্ণ করে তুলছিলো। আমিও সেই মধুর স্বাদটা নিচ্ছিলাম আনমনে।
মৌসুমী হঠাৎই তার ঠোটগুলো সরিয়ে নিয়ে বললো, কেমন লাগলো?
আমি তাৎক্ষণিক ভাবে কিছুই বলতে পারি না। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি কিছুক্ষণ মৌসুমীর দিকে। তারপর বললাম, খুব মজার!
মৌসুমী বললো, এটাই হলো নুযু ভাষায় সষ্ঠু। বাংলায় বলে চুমু, আর ইংরেজীতে কিস।
আমি বললাম, ও!
মৌসুমী বললো, তোকে আরো অনেক কিছু শিখাবো, তার বদলে আমাকে একটু আদর করে অংক শিখাবি।
মৌসুমী শুধু আমার বোনই নয়, শৈশব থেকেই খেলার সাথী, ভালো বন্ধুও বটে। আমি মৌসুমীর মনের অবস্থাটা বুঝতে পারি। বললাম, আর কখনো রাগ করবো না।
মৌসুমীও আমার হাতটা ধরে বলতে থাকে, এখন চল, সাগর পার থেকে ঘুরে আসি।বিধাতা মানুষকে চোখ দুটি দিয়ে থাকে অনেক কিছু দেখার জন্যে। তার মাঝে কিছু সুন্দরকেও। আমিও যে পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য্য দেখেছি তা বলবো না। কেনোনা, বিধাতা সবাইকে সব সুন্দর দেখার ক্ষমতা দেয় না। 

সেবার গরমের ছুটিতে, সত্যিই আমরা সবাই নুযু অঞ্চলে গিয়েছিলাম। মামার বাড়ী, বাংলাদেশেরই সীমান্তে ছোট একটি অঞ্চল। 

না, মামার বাড়ী আসলে নুযু অঞ্চলে না, নুযু অঞ্চলের খুব কাছাকাছি। নুযু অঞ্চলে যেতে হলে একটা পাহাড় ডিঙ্গাতে হয়। তারপরও, নুযু অঞ্চলের কাছাকাছি বলে, বাংলাদেশের এই এলাকার সংস্কৃতিও ছিলো একটু ভিন্ন। অধিকাংশ মেয়েদেরই দেখলাম নগ্ন বক্ষে, খুব সহজ ভাবেই চলাফেরা করছে।

আমাদের মামানীও খাটি বাংলাদেশী। অথচ, মামানীকেও দেখলাম নগ্ন বক্ষে। নিম্নাঙ্গে লাল জমিনে সাদা ছিটের ডোমা। মামানী একটু মোটিয়ে গেছে, তাই দুধগুলোও একটু বেশী বড় লাগে। গোলাকার, প্রায় ছোট খাট দুটি ফুটবলের মতোই। দেহটাও যেনো হরমোনে ভরপুর। নগ্ন বক্ষে খুব সহজভাবেই চলাফেরা করছিলো।  
মামানীর নগ্ন বক্ষ দেখে, আমিই শুধু কেমন যেনো লজ্জা পাচ্ছিলাম। অথচ, মামানী আমার থুতনী ধরেই আদর করতে করতে বলতে থাকলো, তুমি এত বড় হয়ে গেছো? কত আগে দেখেছিলাম তোমাকে? 
এই বলে তার নগ্ন বক্ষেও জড়িয়ে ধরলো। মামানীর নগ্ন স্তন দুটি আমার গালেই চেপে রইলো। আমি তখন কেমন যেনো ছটফটই করছিলাম। দেহটা কেমন যেনো খানিক উষ্ণও হয়ে উঠছিলো। তার সঠিক কারনটাই শুধু বুঝতে পারছিলাম না।

প্রেম ভালোবাসাগুলো নিয়ে তখন আমি সত্যিই খুব একটা ভাবতাম না। প্রতিবেশী একটা মেয়ে, সুমিকে খুব ভালো লাগতো, শুধু এতটুকুই। সেবার মামার বাড়ীতে গিয়ে হাত মুখটা ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু বাইরে বেড় হতে চেয়েছিলাম হাঁটতে। উঠানে পা দিয়েই যে মেয়েটিকে দেখলাম, তাকে দেখে সত্যিই আমার চোখ দুটি যেনো হঠাৎই স্থির হয়ে থাকলো মেয়েটির বুকে। বুকের ভেতরটাও কেমন যেনো হু হু করে উঠলো হঠাৎই। হৃদয়টা কেমন যেনো ভালোবাসায় কাতর হয়ে উঠছিলো।

বয়স বাড়ন্ত, নিম্নাঙ্গে চমৎকার রঙ্গীন ডোমা। নগ্ন বক্ষে সদ্য বেড়ে উঠা চৌকু দুটি স্তন, সত্যিই নজর কেড়ে নেয়ার মতো। আমি মেয়েটির বুক এর দিকটা থেকে কিছুতেই চোখ সরাতে পারছিলাম না। আমার চাহনি দেখে মেয়েটিও কেমন যেনো খানিক ছটফট করে। অন্যত্রই তাকিয়ে থাকে। 

আমার কি হয় বুঝি না। আমি এগিয়ে যাই মেয়েটির দিকেই।

ছোটখাট দেহ, অথচ সাপের মতোই ফণা তুলা একটা দেহ। ধারালো চেহারায় চৌকু ঠোট, আর সদ্য গজিয়ে উঠা চৌকু দুধগুলো পাগল করার মতো। আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম, কি নাম তোমার?

প্রেম ভালোবাসার ব্যাপার গুলো বোধ হয় হৃদয় ঘটিত। কারো চাহনি দেখেই তা অনুমান করা যায়। মুখে বলতে হয় না, এমন কি ভাষাও জানা দরকার পরে না। মেয়েটি আমার চাহনি দেখে খানিক বিচলিত হয়েই উঠে। সে অন্যত্র তাকিয়ে বললো, আমি এই বাড়ীর কাজের মেয়ে।

আমার আগ্রহটা হঠাৎই কেমন যেনো চেপে যায়। আমি আমতা আমতা করেই বললাম, ও! তুমি খুব সুন্দরী!
মেয়েটি খানিক মন খারাপ করেই বললো, রাজকন্যারা সুন্দরীই থাকে। রাজার রাজত্ব চলে গেলেও।

মেয়েটির কথা আমি কিছুই বুঝতে পারি না। তবে, কথা শুনে মনে হলো, খুব সাধারন কোন মেয়ে না। ধানী মরিচ এর মতোই ঝালে ভরা। দেখতেও ঠিক রাজকন্যাদের মতোই মনে হয়। আমি বললাম, মানে?
মেয়েটি বললো, সবই জানবেন, মাত্র তো এলেন। আপনারা আসবেন রিয়া আপু প্রতিদিনই বলতো। ঘরে যান, আমি নাস্তার আয়োজন করছি।

সুন্দর তো দেখারই জন্যে, কখনো ছুতে নেই। মা প্রায়ই বলতো। ফুল বাগানেই শোভা পায়, ছিড়ে এনে টবে সাজাতে নেই। মেয়েদের বুকও ফুলের মতো। তাই নুযু মেয়েরা কখনো বুক ঢেকে রাখে না।

মেয়েটিকে দেখে সত্যিই আমার কাছে কোন এক রাজকন্যা বলেই মনে হলো। আমার বিশ্বাসই হতে চাইলো না, সে মামার বাড়ীর কাজের মেয়ে। আমি মুগ্ধ নয়নেই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকি।

মেয়েটি নিজ কাজেই এগুতে চাইলো। আমি বললাম, দাড়াও, নামটা তো বললে না।
মেয়েটি আমার সামনা সামনি মুখুমুখিই দাড়ায়। বললো, মিলি।

প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারগুলো বুঝি এমনই। মনের মাঝে হঠাৎ করেই জাগে। পৃথিবীতে তো অনেক মানুষই আছে, সবার কিন্তু সবাইকেই ভালো লাগে না। যাকে প্রথম ভালো লাগে, কখনোই ভুলতে পারে না। মিলিকে দেখা মাত্রই কেমন যেনো ভালোবেসে ফেলে ছিলাম। আমি কোন কিছু না ভেবেই বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি মিলি!

মিলি এক প্রকার পাথুরে চোখ করে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। বললো, ভাইয়া, অমন করে বলবেন না। আমার এখনো রসু হয়নি।

মিলির কথার কিছুই বুঝলাম না। আমি বললাম, রসু কি?
মিলি চোখ নামিয়ে বললো, ওগুলো মেয়েদের ব্যাপার।

আসলে, তখন আমার বয়সটা এমনই ছিলো যে, বই পুস্তকের বাইরে, অনেক কথাই জানা ছিলো না। চুমুর ব্যাপারটাও তো আমার জানার ছিলো না। আমার মেঝো বোন মৌসুমীই প্রথম শিখিয়েছিলো।

আমি খানিকটা কৌতুহলী হয়েই বললাম, তা না হয় বুঝলাম, আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করছে, বলো না, রসু মানে কি? 

মিলি তখনও কেমন যেনো লজ্জায় চোখ নামিয়ে রাখে। অস্ফুট গলায় বললো, মেয়েদের হয়, প্রতি মাসে। প্রথম যখন রসু হয়, তখন রসুতে ভেজা ডোমা নিয়ে সবাইকেই জানানো হয়। 

মিলির কথা তখনও আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম না। তারপরও বললাম, ও! তোমার যখন রসু হবে, তখন কি আমাকে ভালোবাসবে?
মিলি বললো, জানি না। আমার আম্মাজান আছে। আম্মাজানকে জিজ্ঞাসা করবো।

ছোট্ট একটা মেয়ে, অথচ মিলিকে খুব বুদ্ধিমতী বলেই মনে হলো। কেমন যেনো আমাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। আমি মিলির নগ্ন বক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকি। চৌকু দুটি স্তনের ডগায়, বৃন্ত প্রদেশের রংও খানিকটা ঘন হয়ে উঠছিলো। বোটা দুটি খুবই ক্ষুদ্র, মশুর ডালের চাইতেও ছোট। খুব ইচ্ছে করে ছুয়ে দেখতে, আদর করতে। অথচ পারি না। কেনোনা, শৈশব থেকেই মা বলতো, বুনু শুধু দেখার জন্যে, কারো বুনু ছুতে নেই। তারপরও আমি বললাম, ও! তোমার বুনু গুলো একটু ছুতে দেবে? 

মিলি চোখ তুলে তাকায় আমার দিকে। চোখ দুটি খানিক কুচকে বললো, কি?
আমি বললাম, স্যরি! না মানে?

মিলিও হঠাৎ কেমন যেনো খানিকটা আবেগ প্রবণই হয়ে উঠে। আমার দিকে খানিকটা প্রণয়ের দৃষ্টিতেই তাকিয়ে থাকে। তারপর বললো, দেবো খোকা, আমার বুনু পূজায় থাকবে?

বুনু শব্দের অর্থ আমি জানি। এটা নুযু শব্দ, মানে মেয়েদের স্তন। পূজা তো বাংলা শব্দই। আমি অবাক হয়েই বললাম, বুনু পূজা কি?
মিলি বললো, আমাকে ভালোবাসো, অথচ বুনু পূজা জানো না?
আমি সহজ ভাবেই বললাম, না, মা আমাকে নুযু সংস্কৃতির অনেক কিছুই শিখিয়েছে। বুনু পূজার কথা কখনোই বলেনি।

মিলি খানিক ক্ষণ চুপচাপ থাকে। তারপর বললো, ঠিক আছে, আমি শেখাবো, এখন না।
আমি বললাম, কখন?
মিলি বললো, দেখছোই তো, লাকড়ী খোঁজতে বেড়িয়েছি। তারপর চুলায় আগুন ধরাবো, তোমাদের জন্যে নাস্তা বানাবো। আমার কত কাজ!
আমি বললাম, ও! ঠিক আছে, তাহলে আমি লাকড়ী খোঁজে আনি। 
মিলি বললো, না খোকা, ওসব দেখলে রিয়া আপু খুব রাগ করবে।
আমি চোখ কুচকে বললাম, রিয়া রাগ করবে কেনো? আর রাগ করলেই বা আমার কি?

মিলি পাশ ফিরে দাড়িয়ে অন্যত্র তাকিয়ে থাকে। পাশ থেকে চৌকু ডান দুধটা আরো বেশী চৌকু লাগে। মিলি বললো, তুমি জানো না, তুমি আসবে বলে, রিয়া আপু কত স্বপ্নের জাল বুনে রেখেছে!

মিলির কথায় আমি খুব অবাকই হলাম। রিয়া আমার মামাতো বোন, মামার এক মাত্র সন্তান। কখনো তাকে দেখেছি বলেও মনে পরে না। আমি অবাক হয়েই বললাম, রিয়া? ও স্বপ্নের জাল বুনে রাখবে কেনো? ওকে তো আমি কখনো দেখিই নি!
মিলি বললো, কি জানি? রিয়া আপু সব সময় বলে, খুব ছোটকালে নাকি তোমরা জামাই বউ খেলতে। 

হ্যা, বড় আপু সহ সবাই বলে, আমরা নাকি মামার বাড়ীতে আগেও এসেছিলাম। তখন নাকি আমি খুব ছোট ছিলাম। আমার সেসব স্মৃতি মনে নেই। শুধু তাই নয়, সেদিন রিয়ারও স্কুলে ছিলো। সত্যিই তখনো আমি তাকে দেখিনি। আমি বললাম, ও! আমার ওসব মনে নেই। আমি কিন্তু সত্যিই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।

মিলি চুপচাপই থাকে। কেমন যেনো উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকে দূর এর পানে। আমি বললাম, কি ভাবছো?
মিলি বললো, ভালোবাসা এত সহজ না। নুযু মেয়েরা চাইলেও তা পারে না।
আমি বললাম, এটা তোমার ভুল ধারনা। আমার বাবাও প্রেম করেই বিয়ে করেছিলো।
মিলি বললো, জানি খোকা, তোমার মা তো আর খাটি নুযু না।

আমার কি হয় বুঝি না। আমি হঠাৎই মিলিকে জড়িয়ে ধরি। তার চৌকু স্তন দুটি চেপে ধরে বলি, এ কথা তোমাকে কে বললো, আমার মা খাটি নুযু না?

মিলি মুখটা আকাশের দিকে করে, চোখ দুটি বন্ধ করে বলতে থাকে, খোকা, আগে আমাকে ছাড়ো। সব বলছি। আগে ছাড়ো না! বুনু ছুতে নেই।

আমিও সম্ভিত ফিরে পাই। মিলিকে মুক্ত করি। বললাম, স্যরি, ঠিক আছে বলো।
মিলি বললো, তোমার নানী নুযু ছিলো। তোমার নানা খাটি বাংলাদেশীই ছিলো। 
আমি বললাম, জানতাম না। তুমি এত কিছু জানো কি করে?
মিলি বললো, জানবো না কেনো? এই বাড়ীতে আমি এক বছর ধরেই তো আছি। 

মিলি খানিকটা থেমে বললো, আমার বুনু ছুয়ে খুব খারাপ কাজ করেছো। আমি আম্মাজানকে সব বলে দেবো।
আমি আহত হয়েউ বললাম, আর ছুবো না, প্লীজ কাউকে বলবে না।
মিলি খানিকটা আহত হয়েই বললো, তুমি! তুমি! আমার এখনো রসুও হয়নি। এই জন্যেই বাঙ্গালীদের আমি এত ঘৃণা করি।
আমি আবারো ক্ষমার ভঙ্গিতে বললাম, তোমার দুধগুলো এত সুন্দর যে, আমি লোভ সামলাতে পারছিলাম না। প্লীজ, আমাকে ক্ষমা করে দাও।

মিলি হু হু করে কাঁদতে থাকে শুধু।

আমারও তখন মনে হয়, শীতের পাখিরা দেখতে সুন্দর! কখনো লোভ করে শিকার করতে নেই। তাহলে শীতের পাখিরা আর কখনোই কাছে আসতে চাইবে না। মিলিকে আমি কি করে শ্বান্তনা দিই, নিজেও কোন ভাষা খোঁজে পাচ্ছিলাম না।

আমারই বা তখন কতই বয়স! মিলিকে দেখে সত্যিই নিজেকে খুব অপেরাধীই মনে হয়। আবারো বলতে থাকি, আমি তোমাকে ভালোবাসি মিলি!

মিলি অন্যত্রই ছুটতে থাকে। কিছু লাকড়ী কুড়াতে থাকে। আমি অসহায় একটা মন নিয়ে দাড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ। অতঃপর আমিও কিছু লাকড়ী জমাতে থাকি।

মিলি খানিকটা দূর থেকে আমার দিকে কঠিন চোখেই তাকায়। বললো, আমার বুনু পূজায় থাকবে কিন্তু।
আমি বললাম, কেনো থাকবো না? 

মিলিরও কি হয় বুঝি না। সে আমার কাছেই এগিয়ে আসে। বললো, আরেকবার আমাকে জড়িয়ে ধরবে?

আমার চোখ দুটি তখন আনন্দে ছল ছল করতে থাকে। বললাম, রাগ করবে না তো?
মিলি বললো, না। আমিও তোমাকে ভালোবাসি খোকা!

আমি আবারো মিলিকে জড়িয়ে ধরি। তার সদ্য গজিয়ে উঠা চৌকু স্তন দুটিতে আদর বুলিয়ে দিতে থাকি। মিলি তার চৌকু ঠোটগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বললো, সষ্ঠু!
আমি মিলির চৌকু গোলাপী ঠোটগুলো মুখের ভেতরে নিয়ে চুষতে থাকি।রিয়া, আমার মামাতো বোন। স্কুল থেকে ফিরে আসে বিকেলের দিকে। আমি তখন মামার বাড়ীতে বসার ঘরে সোফায় বসে বসে তখন মিলির কথাই ভাবছিলাম। 
হঠাৎই ঘরে যে মেয়েটি এসে ঢুকলো, তার পরনে জিনস এর একটা হাফপ্যান্ট। বুকটা নগ্ন থাকলেও, ঘাড়ে খয়েরী রং এর একটা গাউন চাপানো। নগ্ন স্তন দুটি অসম্ভব ধরনের সুঠাম আর চৌকু। খানিকটা বুলেটের মতোই। আমাকে লক্ষ্য করে বললো, তুই খোকা না?
আমি অনুমান করতে পারি, ও রিয়া। বয়সে আমার মাত্র একদিন এর বড়। তারপরও বললাম, যে ভাবে বলছো, মনে তো হচ্ছে অনেক আগে থেকেই চেনো। ঠিক চিনতে পারছি না।
রিয়া বললো, তোকে চিনবো না? তুই বড় হয়েছিস ঠিকই, তোর চেহারা কিন্তু একটুও বদলায় নি। 

সবাই বলে, আগেও নাকি মামার বাড়ীতে আমি এসেছিলাম। আমার কিন্তু সত্যিই মনে নাই। এমন কি মামানীকে দেখেও মনে হয়েছিলো জিবনে প্রথম দেখেছি। আমি বললাম, ও, নিশ্চয়ই রিয়া। আমার কিন্তু তোমার কথা একটুও মনে নেই।
রিয়া বললো, তোর মনে না থাকতে পারে, আমার মনে আছে। একবার সুপারী পাতার উপর আমাকে রেখে টানছিলি। এমন জোড়ে টানছিলি, আমি পাতার উপর থেকে পরে গিয়েছিলাম। বাম কনুইটা থেতলে গিয়েছিলো।
আসলে, সব মানুষের স্মৃতি শক্তি সমান না। আমার অনেক কিছুই মনে থাকে না। আমি রিয়ার কথা বিশ্বাস করলাম। বললাম, হতে পারে। আমার মনে নেই। 

আমি রিয়ার নগ্ন বক্ষের দিকেই তাকিয়ে থাকি। সত্যিই অদ্ভূত রকমের চমৎকার! খুবই সুঠাম, খুবই চৌকু! তবে মিলির দুধগুলোর তিন গুনই বড় হবে। আমি নিজের অজান্তেই বলি, তোমার দুধগুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে!

রিয়া ওপাশের সোফাটার ডানার উপরই বসে। বললো, বেশী নজর দিবি না।

রিয়ার যেমনি শিশু সুলভ চেহারা, তেমনি চুল গুলোও বব কাট করে কেটে রাখা। এতে করে আরো বেশী শিশু শিশু লাগে। শুধু স্তন দুটিই কেমন যেনো কাচা ডালিমের মতোই ফুলে ফাপা। বৃন্ত প্রদেশ দুটিও খুব প্রশস্থ, হালকা খয়েরী রং এর। বোটা দুটিই শুধু খুব ছোট, তিলের মতোই। সত্যিই খুব লোভ লাগে।

আমি বললাম, অমন দেখিয়ে রাখলে তো নজর পরবেই।
রিয়া বললো, দেখিয়ে রাখি কি শখে? সবাই থাকে, তাই আমিও থাকি। তোর কথা বল। 
আমি বললাম, আমার আর কি কথা বলবো?
রিয়া বললো, না মানে, প্রেম ট্রেম করিস কি না, আছে না? এই বয়সে তো সবাই করে।

আমি হঠাৎই কেমন যেনো একটু অন্যমনস্কই হয়ে যাই। প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারগুলো নিয়ে খুব গভীর ভাবে ভাবিনি কখনোই। তবে, মিলিকে দেখার পর থেকে, একটু একটু ভাবতেও শুরু করেছিলাম। আমি আমতা আমতা করেই বললাম, না মানে, একটু একটু।
রিয়া চোখ কুচকে বললো, কাকে?

 আমিও হঠাৎ তুই তোকারী করতে থাকলাম। বললাম, সব কিছু কি তোকে বলতে হবে নাকি?
রিয়া বললো, আমাকে না বললে, কাকে বলবি? মনে নেই, আমাকে নিয়ে তুই জামাই বউ খেলতি?

কথাটা মিলিও বলেছিলো। আমার কিন্তু সত্যিই এমন কিছু মনে পরে না। আমি বললাম, কি জানি? আমার ওসব কিছুই মনে নেই। তোদের বাড়ীতে কখনো এসেছিলাম বলেও কিন্তু মনে পরে না।

রিয়া খানিকটা হতাশ হয়েই সোফাটায় হেলান দিয়ে বসে। খানিকটা অভিমানী চেহারা করে, আমার দিকে চোখ বড় বড় করেই তাকিয়ে থাকে। বললো, তোর কি মনে হয়? আমি কি সব বানিয়ে বানিয়ে বলছি?আমি অনেক চেষ্টা করি অতীত এর স্মৃতি কিছু খোঁজতে। সত্যিই কিছু মনে পরে না। বললাম, কত বছর আগে?
রিয়া বললো, তাতো দশ বছর আগের কথা। তোর হয়তো মনে নেই, আমি আর তুই খাবারটাও ভাগাভাগি করে খেতাম।  
অতীত এর স্মৃতি আমার মনে না থাকলেও, রিয়ার কথাগুলো যে মিথ্যে নয়, তা আমি অনুভব করি। সেবার মামার বাড়ীতে গিয়ে আমারও যে কি হয়, নিজেও বুঝতে পারিনা। রিয়ার দুধগুলো দেখেও কেনো যেনো খুব লোভ হলো ছুতে। আমি রিয়া যে সোফাটায় বসে থাকে, তার ডানাতেই বসি। আমার হাত দুটি কেনো যেনো রিয়ার ডালিমের মতো উঁচু সুঠাম স্তন দুটির দিকেই এগুচ্ছিলো। রিয়া হঠাৎই তার বাম হাত এর বাহুটা নগ্ন দু স্তন এর উপর চেপে রেখে বললো, সবাধান, দুধ ছুবি না। আমার এখনো বুনু পূজা হয়নি।

এই বিকেলেই মিলির দুধ ছুয়েছিলাম। তখন মিলিও খুব রাগ করেছিলো। ও বলেছিলো, এখনো তার বুনু পূজা হয়নি। আমি আমতা আমতা করেই বলি, না, ছুবো না। আচ্ছা, বুনু পূজার মানে কি? ছুলে কি হয়?
 
রিয়া হাসলো, বললো, তুই কি বোকা?
আমি বললাম, বোধ হয়।
রিয়া আবারো হাসলো ফিক ফিক করে। বললো, তাহলে ঠিক আছে। বলছি।
 
আমি রিয়ার কথা কিছুই বুঝতে পারলাম না। রিয়া সোফা থেকে উঠে দাড়িয়ে পরনের জিনস এর প্যান্টটা খুলতে থাকলো। আমি দেখলাম, নিম্নাঙ্গটা তখনো একটা সাদা প্যান্টিতে ঢাকা। সরু ফর্সা উরু দুটি খুবই চমৎকার লাগে। রিয়া পাশ ফিরে খানিকটা পোঁজ মেরে দাড়িয়ে বললো, জামাই বউ খেলবি? তাহলে আমার বুনু ছুতে দেবো।
 
জামই বউ খেলার ব্যাপারটা আসলে তখন কিছুই বুঝতাম না। আমি রিয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি শুধু। রিয়া মুচকি হেসে বললো, তুইও খুল!
আমি এদিক সেদিক একবার তাকিয়ে, আমতা আমতা করেই বললাম, খুলবো?
রিয়া বললো, যেনো ন্যাকা! খুল বলছি! ওটা তো খুব ক্ষেপেই আছে দেখছি!
 
আমার পরনে সাদা টি শার্ট আর জলপাই রং এর ফুলপ্যান্ট। তখনো জাঙ্গিয়া পরতে শুরু করিনি। প্যান্টের তলায় শিশ্নটা সত্যিই দাড়িয়ে নাচানাচি করে প্যান্টের জমিনে শুধু ঠোকর দিচ্ছিলো। আমি খানিকটা লাজুক চেহারা করেই বললাম, না মানে?
 
রিয়া বললো, এত লজ্জা করিস কেন? খুল না! একটু দেখা!
 
আমি আমার পরনের প্যান্টটা খুলতে থাকি। কচি শিশ্নটা খাড়া হয়েই দাড়িয়ে থাকে। 
 
রিয়ার চোখ দুটি হঠাৎই কেমন যেনো চক চক করে উঠে। এগিয়ে এসে আমার শিশ্নটা মুঠি করে ধরে। এত্ত নরোম হাত রিয়ার! আমার শিশ্নটা আরো বেশী উত্তপ্ত হয়ে উঠে ওর হাতের মুঠুয়। কেমন যেনো এক প্রকার নাচতে থাকে। রিয়া খিল খিল হাসিতে বলতে থাকে, এত্ত বড় হয়ে গেছে? তখন কি ছোট্ট ছিলো! তোর সাথে জামাই বউ খেলতাম ঠিকই, কিন্তু একটুও মজা পেতাম না।
এই বলে নাড়তে থাকে আমার শিশ্নটা।  
 
জামাই বউ খেলার ব্যাপারটা তখনো আমার জানা ছিলো না। তবে, রিয়ার আচরনে মনে হলো, এই শিশ্নটা দিয়েই বুঝি কোন খেলা। রিয়া আমার শিশ্নটা মুক্ত করে, তার নিজ পরনের প্যান্টিটাও খুলে ফেলে।
 
এটা সত্যি কথা, নুযু মেয়েরা নগ্ন বক্ষে থাকলেও, কখনো আমি কোন মেয়ের নিম্নাঙ্গ দেখিনি। রিয়াও সরাসরি তার নিম্নাঙ্গের সামনের দিকটা দেখাতে চাইলো না। পাশ ফিরে দাড়িয়ে, ভারী নগ্ন পাছাটা দেখিয়ে বললো, নুযু পূজা করতে পারিস তো?
 
সেবার মামার বাড়ীতে গিয়ে, নুতন নুতন অনেক শব্দের পাশাপাশি, কিছু পূজার নামও শুনতে পাচ্ছিলাম। যেমন রসু, বুনু পূজা ইত্যাদি। আমি বললাম, নুযু পূজা আবার কি?
রিয়া খানিকটা হতাশ হয়ে সোফাটায় পাছা উচিয়ে পেছন ফিরে বসলো। বললো, তুই কি সত্যিই কিছু জানিস না? তাহলে খেলবো না।
 
আমি দেখতে থাকি, রিয়ার সুদৃশ্য নগ্ন পাছাটা।
রিয়া তার মুখটা ঘুরিয়ে, মিষ্টি করেই হাসে। বললো, দাড়িয়ে রইলি কেন? আয়! আমার নুযু পূজা কর!
 
নুযু পূজার ব্যাপারটা সত্যিই আমি জানতাম না। শৈশব থেকে মা আমাদের নুযুদের অনেক গলপোই করতো। কিন্তু কখনো বুনু পূজা, নুযু পূজা এসব এর কথা বলেনি। আমি খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বললাম, কি করে করতে হয় জানি না তো! 
 
রিয়া আরো বেশী হতাশ হয়ে বললো, আবার বলিস না, নুযু মানে কি, তাও জানিস না।
আমি বললাম, তা জানি, মা সব সময়ই বলে, নুযু মানে মা।
রিয়া বললো, শুধু এতটুকুই জানিস? নুযু শব্দের অনেক অর্থ আছে।
আমি কৌতুহলী হয়েই বললাম, আর কি অর্থ?
রিয়া বললো, নুযু মানে দেশও। মানে মাতৃভূমি।
আমি বললাম, ও! আমার জানা ছিলো না।
 
রিয়া কিছুক্ষণ আমার দিকে কামনার চোখে তাকিয়ে থাকে। তারপর বললো, আরো একটা অর্থ হয়। তা হলো মেয়েদের যোনী। কারন, ওখান থেকেই মানুষ এর জন্ম হয়। সত্যিকার এর মাতৃভূমি।
এই বলে রিয়া, সোফায় সামনা সামনি হয়ে বসে নিম্নাঙ্গ দেখিয়ে বলে, শুধু তোকেই দেখাচ্ছি আমার নুযু। কেমন?
 
রিয়ার নিম্নাঙ্গের সামনের দিকটা দেখে, সত্যিই আমার চোখ দুটি কেমন যেনো সার্থক হয়ে উঠে। মনে হতে থাকে, পৃথিবীতে তখনো অনেক সৌন্দর্য্যই আমি দেখিনি। সত্যিই যেনো অপরূপ এক সুন্দর দৃশ্যই জিবনে প্রথম দেখি আমি।
 
তখন আমার নাকের নীচে যেমনি পাতলা পাতলা কিছু লোমের অবির্ভাব হচ্ছিলো, শিশ্নটার চারপাশেও হালকা বাদামী লোম এর কিছু উদয় হচ্ছিলো, যা নিজেও কখনো ভালো করে দেখতাম না। তবে, মেয়েদের নিম্নাঙ্গ দেখতে কেমন হয়, নিজেরও জানা ছিলো না। আমি দেখলাম, এক গুচ্ছ পাতলা অথচ কুচকুচে কালো কেশ রিয়ার যোনী অঞ্চলে।
 
রিয়া তার হাত দুটি উপরে তুলে, নগ্ন বক্ষটা উচিয়ে ধরে বললো, কর, আগে আমার বুনু পূজা কর।
 
রিয়ার অনুমতি পেয়ে আমি আর খুব একটা দেরী করি না। ওর লোভনীয় দুধগুলো টিপতে শুরু করি। রিয়া খানিকটা আহত হয়েই বললো, ধ্যাৎ! তুই কি সত্যিই বুনু পূজা জানিস না?
 
আমি রিয়ার বুকের উপর থেকে হাত দুটি সরিয়ে বললাম, না মানে, কখনো করিনি তো!
রিয়া বললো, তাহলে ঠিক আছে। আমি তোকে শিখিয়ে দিচ্ছি। শোন, প্রথমে মেয়েদের বুনুতে আদর বুলিয়ে বলতে হয়, বুনু তুমি সুন্দর! বুনু তুমি ফুল! বুনু তুমি দুগ্ধ! বুনু তুমি জিবন!
 
আমি রিয়ার লোভনীয় দুধ দুটিতে আদর বুলিয়ে বলতে থাকি, বুনু তুমি সুন্দর! বুনু তুমি ফুল! বুনু তুমি দুগ্ধ! বুনু তুমি জিবন!
 
রিয়া চোখ দুটি বড় বড় করে বললো, এর মানে বুঝিস তো?
আমি বললাম, একটু একটু।
রিয়া বললো, এই যে বুনু, এগুলো দেখতে ফুলের মতোই সুন্দর, আর যখন একটি মেয়ে মা হয়, এখানেই থাকে অনেক দুধ! শিশুদের জিবন! 
 
রিয়া তার পা দুটি ছড়িয়ে ধরে। কালো কুচ কুচ করা কেশে আবৃত যোনীটা দেখিয়ে বললো, হুম, এবার আমার নুযু পূজা কর।
 
আমার কি করা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার শিশ্নটা তখন প্রচণ্ড রকমে খাড়া হয়ে থাকে। আমি সেটাই এগিয়ে নিতে চাইছিলাম রিয়ার লোভনীশ কচি যোনীটার দিকে। রিয়া রাগ করেই বললো, এই থাম থাম! করিস কি?
আমি বললাম, নুযু পূজা কিভাবে করতে হয়, জানিনা তো!
 
রিয়া হতাশ হয়েই বললো, তোকে নিয়ে যে কি করি! ঠিক আছে, শিখিয়ে দিচ্ছি। মেয়েদের নুযু দেখে প্রথমে বলতে হয়, নুযু তুমি সুন্দর! নুযু তুমি পবিত্র! তারপর একটা চুমু দিতে হয়।
 
আমিও রিয়ার যোনীটার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকি, নুযু তুমি সুন্দর! নুযু তুমি পবিত্র! 
অতঃপর তার যোনীতে একটা চুমু দিই। রিয়া তখন খিল খিল করে হাসতে থাকে।

মামাও অফিস থেকে ফিরে আসে তেমনি একটা সময়ে। অবাক হয়ে বলতে থাকে, এই রিয়া, এসব কি হচ্ছে? ও কে?
 
আমি হঠাৎই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সরে দাড়াই। রিয়াও পা দুটি জড়ো করে বলতে থাকে, ও খোকা! চিনতে পারছো না?
 
মামা আমার আপাদ মস্তক একবার দেখে। তারপর বললো, ও! খোকা? কত্ত ছোট দেখেছিলাম! 
তারপর রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, তোমার পরনে ডোমা নেই কেনো মামণি?
রিয়া আহলাদী গলায় বললো, না মানে, ওকে নুযু পূজা শিখাচ্ছিলাম।
মামা বললো, দুষ্ট মেয়ে! তোমার মাথায় কি একটুও বুদ্ধি নেই? নুযু পূজার মানে বুঝো?
 
এতক্ষণ আমিই মনে করেছিলাম, নুযুদের অনেক কিছুর মানে আমি বুঝি না। মামার কথা শুনে মনে হলো, রিয়াও জানে না। রিয়ার চেহারাটাও কেমন যেনো চুপসে যায়। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে শুধু।
 
মামা খুব একটা রাগ করে না। স্নেহ ভরা গলাতেই বললো, তাড়াতাড়ি ডোমা পরো। মেয়েদের নুযু সবাইকে দেখাতে নেই।
তারপর আমাকেও ধমকে বললো, তুমিও একটা লুঙ্গি পরো। কি নির্লজ্জ ছেলে!
 
আমি তাড়াহুড়া করেই পরনের প্যান্টটা খোঁজতে থাকি। রিয়াও সোফাটা থেকে উঠে দাড়ায়। এগুতে থাকে ভেতর বাড়ীর দিকে হন হন করে।ছোট খালা, সমানা সামনি না দেখলে বোধ হয় ব্যাখ্যা করে বলার মতো কোন ভাষাই থাকে না। বয়সে আমার চাইতে মাত্র এক মাসের বড়। অনেকেই বলে, সেবার আমাদের একমাত্র মামা যখন বিয়ে করেছিলো, তখন মামীকে দেখে শুধু আমার বাবাই নয়, নানাজানও রাতের কাজটা করতে শুরু করেছিলো নানীর সাথে।
তখন আমাদের নানা নানী কেউই বেঁচে নেই। ছোট খালা তখন মামার বাড়ীর উত্তর ভিটের ঘরটাতে থাকে। আমি এমনিতেই উত্তর ভিটের ঘরটাতে ঢুকেছিলাম। দেখলাম, ছোট খালা পড়ার টেবিলের পাশে একটা চেয়ারে বসে আছে। পরনে সাদা রং এর একটা ডোমা। নগ্ন বক্ষ। আমি ঢুকতেই, দু কনুইয়ে নগ্ন বক্ষ ঢেকে বললো, কে তুমি?
ছোট খালাকে আসলে আমিও কখনো দেখিনি। মিলিকে দেখে আমার কাছে এক রাজকন্যাই মনে হয়েছিলো। অথচ, ছোট খালাকে দেখে মনে হলো, কেমন যেনো অনেক অনেক আগের চেনা। ঠোটগুলো এক প্রকার রসে ভরপুর। আমি বললাম, খোকা। 
ছোট খালা হঠাৎই কেমন যেনো আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠে। বুক আর ঢাকে না। চেয়ারটা থেকে উঠে দাড়িয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে তার নগ্ন বক্ষে। বলতে থাকে, এত্ত বড় হয়ে গেছো? সেই কবে দেখেছিলাম!মেয়েদের স্তন বুঝি সত্যিই ফুলের মতো। ফুলও তো অনেক ধরনের থাকে। ছোট খালার নগ্ন বক্ষ দেখেও, এক নাম না জানা ফুলের মতোই মনে হলো। খুব গোলাকার! খুবই সুঠাম! বৃন্ত প্রদেশও ঘন খয়েরী, ঠিক মায়েরই মতন! ছোট খালা বলতে থাকলো, মেঝো আপু এসেছে? পাপড়ি খালা, মৌসুমী খালা, ইলা, ওরা?
আমি বললাম, বড় আপু আর ইলাই শুধু এসেছে। আমি কিন্তু এখনো তোমাকে চিনতে পারিনি।
ছোট খালাও কেমন যেনো হতাশ হয়। মন খারাপ করে বললো, এখনো চিনতে পারোনি? আমি তোমার ছোট খালা, শাপলা! ছোট কালে তুমি তো আমার সাথেই খেলতে! রিয়া কত্ত রাগ করতো!

Leave a Comment